September 28, 2024, 4:16 pm

সংবাদ শিরোনাম
মজলুম সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী’র রুহের মাগফিরাতে দোয়া অনুষ্ঠান বৈষম্যের পদভারে পিষ্ঠ নাটোরের প্রাণ এ্যাগ্রো এবং পাঁচ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষনা সাবেক পৌর মেয়র মোঃ আলমগীর শেখ তিতু’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ দিনাজপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত, আহত ৪ সিএনজি সহ চার ছিনতাইকারী জনতার হাতে আটক, পালিয়ে যাওয়ার সময় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে গলায় রশি পেচিয়ে বৃদ্ধ মহিলার আত্মহত্যা ময়মনসিংহে ১৬৬ বস্তা জিরা ও ৩০০ পিস ভারতীয় কম্বল জব্দ, আটক ৪ চিলমারীতে সেই শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব বাগআঁচড়া-নাভারণ সড়কের বেহাল দশা,দেখার কি কেউ নেই?

যশোরের  রাস্তায়  শুয়ে পড়ে  গড়িয়ে ভিক্ষা করার দৃশ্য দেখে মানুষ হতবাক। 

মাসুম পারভেজ,  নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া শহরের নূরবাগ এলাকায় জীবন বাজি রেখে ভিক্ষা করছেন বউ বাজারের  মোঃ রহিম।
তার এই ভিক্ষা করার দৃশ্য দেখে মানুষ হতবাক!
ভিক্ষাবৃত্তি একটি সামাজিক সমস্যা ও অভিশাপ। ভিক্ষাবৃত্তি কোনো স্বীকৃত পেশা নয়। এর পরও চলার পথে হাটে-বাজারে, দোকানে, পরিবহনে, রিকশায় ওঠার সময় ভিক্ষুকের দেখা মেলে ।  সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায়। তাদের আবেদন নিবেদনে অনেকের মন গলে যায় এবং অনেকে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করে। মসজিদে জুমার দিন, রোজার সময়, শবেবরাত বা শবেকদর কিংবা ঈদের দিন ভিক্ষুকের বেশি দেখা  যায়।
তেমনটা  অভয়নগরের নওয়াপাড়া শহরে ভিক্ষুকের সংখ্যা কম নয়, যত দিন যাচ্ছে ততই যেন ভিক্ষুকদের  সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বিশেষ করে  নওয়াপাড়া খেয়াঘাটে, বাজারের মধ্যে, বিভিন্ন রাস্তাঘাটে,  মসজিদের দরজার সামনে, ভিক্ষুকদের অধিকাংশ  সময় দেখা যায়।
উল্লেখ্য যে,  নওপাড়া শহরের মধ্যে নুরবাগ একটি ব্যস্ততম স্থান। এখানে  দীর্ঘদিন ধরেই চোখে পড়ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে  এই রহিমের  ভিক্ষা করার দৃশ্য। প্রচন্ড রৌদ্রের মধ্যেও তাকে এই ভিক্ষা করতে দেখা গেছে। যশোর খুলনা মহাসড়কের পাশে নূরবাগের মতো  ব্যস্ততম স্থানটিতে সবসময়ই দেখা যায় ভারী যানবাহন,  রিকশা, ভ্যান গাড়ি,  ট্রাকসহ মোটরসাইকেল চলছেই।
তারই মধ্য দিয়ে আব্দুর রহিম রাস্তায় শুয়ে পড়ে গড়িয়ে গড়িয়ে থালা হাতে নিয়ে ভিক্ষার আবেদন করে ভিক্ষা করছেন, রাস্তাঘাটের যানবাহনগুলো তাকে দেখে থেমে যাচ্ছে। পথচারীরা পথ চলতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন। কেউ আবার ভিক্ষা দিতেও ব্যস্ত থাকছেন। রহিম হাঁটতে পারেনা,চলতেও পারে না, শুয়ে পড়ে গড়িয়ে গড়িয়ে তার চলা আর ভিক্ষা করা। এটাই তার উপার্জনের একমাত্র উৎস।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে, তার এই উপার্জনকে  সকলে সমান ভাবে নিচ্ছে না। তার সংসার রয়েছে, পিতা মাতা রয়েছে, ছেলেমেয়ে রয়েছে, তবুও কেন তিনি এ পথ বেছে নিলেন? কেনইবা চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুঃসাহসিক কাজ।  অনেক প্রতিবন্ধী রয়েছে যারা কর্ম করে খায়, তিনি কেন এধরণের কষ্টকর উপায় ছাড়ছেন না?
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা মালিকের ইচ্ছে,এটা আমার করতে হবে, এছাড়া অন্য কোন পথ নেই, ছোট বেলা থেকে আমি একাজ করে আসছি। আমার সন্তানদের ভরনপোষণের জন্য একাজ করি।
 ফুটপাতের এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, তাকে এভাবে প্রায় দেখি বাসা কোথায় সঠিক জানিনা। অনেই বলছেন এভাবে ভিক্ষা করা ঠিক নয়, তাকে পুনর্বাসন করতে হবে,না হয় অন্য কোন ব্যবস্থা করতেই হবে। তা নাহলে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে অঘটন।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর